ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া যুগীপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে দুই বাড়ির ছয়টি ঘরের মালামাল লুটসহ নারী-পুরুষদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

আওয়ামী লীগ এ ঘটনাকে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির কাজ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অপরদিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনা নিছক ডাকাতি। ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং ডাকাতি মামলার আসামিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

গতকাল রোববার ওই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১টার দিকে ৩০-৩৫ জনের একদল সশস্ত্র মুখোশধারী প্রথমে কবিরাজ বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা বাড়ির নেপাল, নিখিল, বিষ্ণু, তাপস এবং গৌরাঙ্গ সাহার ঘরে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। ঘরের লোকজনদের মারধর এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তারা মহিলাদের নির্যাতন করে বলে জানা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের বাড়ির ছয় ঘর থেকে ২৫ ভরির ওপরে স্বর্ণালংকার এবং ৩ লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে। মন্টু দেবনাথ এবং রেনুবালা জানান, তাদের ঘরের সব মালামালই লুট হয়েছে। কবিরাজ বাড়ির চার বছরের অনু এলোপাতাড়ি মারের আঘাতে ভীত হয়ে মানুষজন দেখলেই চিৎকার দিয়ে ওঠে।

উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর জানান, হামলা এবং লুটপাটকারীরা বিএনপির কর্মী বলে পরিচিত। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং কয়েকটি ডাকাতি মামলার আসামি।

প্রথম আলো, ২০ আগস্ট ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন