যৌতুক মামলার পলাতক আসামি কামরুজ্জামান। থাকেন সৌদি আরব। অথচ তার জায়গায় লিটন নামে নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে ধরে নির্যাতন চালায় পুলিশ। এতে মৃত্যু হয় লিটনের। ময়মনসিংহের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার আদালতে হত্যা মামলা করেছেন, দুই এসআইসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, নিহত লিটন মিয়াকে কামরুজ্জামান সাজাতে নানা ছল চাতুরি করছে পুলিশ।

 

২৩ এপ্রিল রাতে যৌতুক মামলার আসামি কামরুজ্জামানকে ধরতে গফরগাঁওয়ের পাকাটি গ্রামে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় কামরুজ্জামানের বদলে লিটন মিয়াকে আটক করে চালানো হয় নির্যাতন। এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে লিটনকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় মারা যান তিনি।

ভুল আসামি ধরে নির্যাতনের বিষয়টি বুঝতে পেরে নানা ছল চাতুরি শুরু করে পুলিশ। লিটন মিয়াকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে কামরুজ্জামান সাজিয়ে টিনের চাল থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

সত্যতা যাচাইয়ে কামরুজ্জামানের বাড়িতে গেলে পরিবার জানায় সে সৌদি আরব আছেন।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন। কথা বলেন, ভুক্তভুগি পরিবারের সাথে।

লিটনকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে পরিবার। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হত্যায় জড়িত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান হিরো ও গফরগাঁও থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য। স্বজনদের অভিযোগ, আসল আসামিকে বাঁচাতেই বলির পাঠা বানানো হয়েছে লিটন মিয়াকে।

চ্যানেল টোয়ান্টি ফোর

মন্তব্য করুন