রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে (২৭ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশের (হুজিবি) ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তাদের কাছ থেকে ১০০ মিলি লিটার চেতনানাশক পদার্থ, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু, দুটি মুখোশ ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম। গুলিস্তানে মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে সিটিটিসি ও ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা হলো বিল্লাল হোসেন (২৫), নুর আলম (২৮), রফিকুল ইসলাম (২৯), আবুল মিয়া (৩৫), আবদুর রহমান (৩০) ও আক্তার হোসেন (৩৪)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ধরা পড়া জঙ্গি বিল্লাল হোসেন সাতজনকে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে। গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, এই গ্রুপ মূলত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তাদের সংগঠন পরিচালনা, সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ডাকাতিকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি করত। এই গ্রুপের উদ্দেশ্য হলো ডাকাতি করে লুট করা অর্থ তাদের সংগঠন গোছানোর কাজে ব্যবহার করা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রুপের মূল নেতা মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। তার নির্দেশনায় এই গ্রুপটি তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এর আগে হুজিবির ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যারা ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। তিনি আরও বলেন, জঙ্গিদের সক্ষমতা পুলিশ বহুলাংশে ধ্বংস করেছে। নাশকতা ঘটাতে হরকাতুল জিহাদের তেমন কোনো সক্ষমতা নেই। তবে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনকে নতুন করে সংগঠিত করে বিভিন্ন জায়গায় হামলার চেষ্টা করা। তারা যাতে এমন কিছু না করতে পারে বা নতুন করে সংগঠিত হতে না পারে সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। তাদের নেটওয়ার্কে যারা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।