রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিখোঁজের পর তিন সন্তানের জননী মেরিনা মার্ডি (৩৫) নামের এক আদিবাসী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার দাবি করছে- খুনিরা ওই নারীকে বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

 

নিহত মেরিনা মার্ডি উপজেলার আটভাগ আদিবাসী গ্রামের নরেন মার্ডির স্ত্রী। গত সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে একটি কলাবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।

নিহতের স্বামী নরেন মার্ডি জানান, তাঁর স্ত্রীকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।

পুঠিয়া থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, পুলিশের ধারণা শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি। তবুও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি-না তা জানার জন্য পরীক্ষা করা হবে। তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হয়নি। বুধবার ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন