অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, হামলা, লুটপাট, খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দেশের জাগ্রত বিবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ মৌন মিছিল করেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষকের মৌন মিছিলটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আরআইএম আমিনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উল্লাহ ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকসহ নেতাস্থানীয় শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অতর্কিতে হামলা হচ্ছে। বিচার চেয়ে বার বার ব্যর্থ হতে হচ্ছে। তাহলে কি প্রতিবাদের পরিবর্তে প্রতিরোধ করতে নেমে যেতে হবে? তিনি বলেন, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর লুট, খুন, ধর্ষণ এসব কি মানবতার ওপর হামলা নয়? তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য যে আওয়াজ উঠেছে তার বিপরীতে বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাতে এ দেশের বিবেকবান ও সংগ্রামী ঐতিহ্যচেতা মানুষ কি রুখে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর দেশব্যাপী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, হামলা, লুটপাট, খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দেশের জাগ্রত বিবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ মৌন মিছিল করেছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষকের মৌন মিছিলটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আরআইএম আমিনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উল্লাহ ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকসহ নেতস্থানীয় শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অতর্কিতে হামলা হচ্ছে। বিচার চেয়ে বার বার ব ̈র্থ হতে হচ্ছে। তাহলে কি প্রতিবাদের পরিবর্তে প্রতিরোধ করতে নেমে যেতে হবে? তিনি বলেন, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর লুট, খুন, ধর্ষণ এসব কি মানবতার ওপর হামলা নয়? তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য যে আওয়াজ উঠেছে তার বিপরীতে বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাতে এ দেশের বিবেকবান ও সংগ্রামী ঐতিহ্যচেতা মানুষ কি রুখে দাঁড়াবে না? তিনি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পরিবর্তে বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা, ধর্ম-বর্ণের মানুষ নিয়ে সুসমন্বিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের জন্য সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। যদি কারও উস্কানিতে এই সম্প্রীতি নষ্ট হয় জনগণ তার জবাব দিতে কালবিলম্ব করবে না।

দৈনিক জনকন্ঠ, ১৮ অক্টোবর ২০০১

মন্তব্য করুন