নোয়াখালীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ জুলাই বুধবার রাতে জেলা শহর মাইজদিতে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত তাজুল ইসলাম জুয়েল নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণ পুর মহল্লার গিয়াস উদ্দিন ও নুর নাহার বেগমের ছেলে। তিনি একটি পেইন্ট কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার।
এই ঘটনায় জুয়েলের বাবা বুধবার রাতে সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ জুয়েলের সন্ধান দিতে পারেনি।
জুয়েলের ভাই আজিম চৌধুরী জানান তার ভাই নেরোল্যাক পেইন্ট কোম্পানিতে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করার পাশাপাশি গত মার্চ মাস থেকে মাইজদিতে একটি হার্ডওয়্যার ও স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন।
২৯ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় শহরের ইসলামিয়া সড়কে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কর্মচারীদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একটি মাইক্রোবাসে আসা চার জন ডিবি পরিচয়ে দোকানে প্রবেশ করে জুয়েলকে নিয়ে যান।
এই ঘটনার পর থেকে জুয়েলের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খবর পেয়ে জুয়েলের বাবা গিয়াস উদ্দিন ও স্বজনরা ডিবি কার্যালয়ে ছুটে যান। তাদের বলা হয় মাইজদি থেকে কাউকে আটক করেনি ডিবি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও সন্ধান না পেয়ে বুধবার সুধারাম মডেল থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়।
নোয়াখালী ডিবি পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, বুধবার ডিবি পুলিশের কোনো টিম মাইজদি থেকে কাউকে আটক করেনি। বিষয়টি নিয়ে ডিবি পুলিশ কাজ করছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. নবীর হোসেন বলেন অপহৃতের বাবার জিডির সূত্র ধরে আমরা কাজ করছি। তবে বৃহস্পতিবার রাত নয়টা পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কী কারণে এবং কারা অপহরণ করেছে এ বিষয়ে তার পরিবার পুলিশের কাছে স্পষ্ট তথ্য দিচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে অপহরণের ঘটনা ঘটতে পারে। অপহৃত ব্যক্তির মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার অবস্থান সম্পর্কে জানা যাচ্ছে না। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে।