মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার প্রাচীন অনন্তদেব মন্দিরের জায়গা দখল করে নিয়েছে বিএনপি সন্ত্রাসীরা। দখলকৃত জায়গায় সন্ত্রাসীরা এখন দোকানঘর নির্মাণ করছে। এর প্রতিবাদ করায় মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা সন্ত্রাসীদের রোষাণলে পড়েছে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পালিয়ে বেড়াচ্ছে মন্দিরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। স্থানীয় থানা পুলিশ না দেখার ভান করছে। জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে শ্রীনগরের জমিদার লালা কীর্তি নারায়ণ বসু অনন্তদেব মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এই মন্দিরে পুজা-অর্চনা করে আসছে। প্রাচীন এই মন্দিরের প্রধান ফটকের দু’ধারে রয়েছে অর্পিত সম্পত্তি। এই অর্পিত সম্পত্তি উপজেলার শ্যামসিদ্ধি গ্রামের মোশারফ হোসেন, এমারত হোসেন, শামছু মোড়ল, মোজাফফর হোসেন প্রমুখ লিজ নিয়ে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানে লিজকৃত জায়গায় গড়ে ওঠা দোকানঘর প্রসারিত করার নিমিত্তে মন্দিরের প্রধান ফটকের সামনেই গড়ে তুলছে দোকানঘর। এতে মন্দিরের জায়গা বেহাতসহ মন্দিরের পবিত্রতা ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে মন্দিরের নির্মাণাধীন পাঠমন্দির ও ধর্মীয় পাঠাগারের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। মোশারফ হোসেন ও শামছু মোড়ল কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশে মন্দিরের প্রধান ফটকের ভিতর দক্ষিণ দিকে মন্দিরের টিনের বেড়াটি ভেঙে নতুন করে দোকানঘর নির্মাণ ও মন্দিরের উত্তর দিকের দেয়াল ভেঙে মন্দিরের জায়গা দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মন্দির কমিটির সভাপতি রূপক দেবনাথ সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হন। মন্দিরের সম্পত্তি দখল ও সন্ত্রাসী আক্রমণ সম্পর্কে মন্দির কমিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) অবহিত করেন। কিন্তু উল্লিখিত বিষয়ে সঠিক কোন সমাধান না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ, ২৯ জুন ২০০২