সিলেটের বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার দিবাগত রাতে পৃথক ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ডাকাতসহ দুজন নিহতের কথা জানিয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব। বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের সুড়িরখাল নামক স্থানে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহতের কথা জানায় পুলিশ।

 

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, নিহত ডাকাতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ওসির ভাষ্য, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে (২২ ফেব্রুয়ারি)  ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্ততি চলাকালে একজন মোটরসাইকেল আরোহী বিষয়টি টহলরত পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে ডাকাত দলকে প্রতিহত করতে তাৎক্ষণিকভাবে থানার একদল পুলিশ এগিয়ে গেলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে।

ওই কর্মকর্তার দাবি, এসময় একজন অজ্ঞাতনামা ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং একপর্যায়ে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। এছাড়া আহত হন থানা পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাস।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।

অন্যদিকে একইদিন দিবাগত মধ্যরাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদুপুর এলাকায় পৃথক অভিযানে কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানায় র‌্যাব। এসময় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‌্যাবের দাবি, নিহত আলী হোসেনকে (৪০) একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি।

র‌্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার কদুপুর এলাকায় অভিযান চালালে সে তার দলবল নিয়ে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে আলী হোসেন নিহত হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

ইউএনবি

মন্তব্য করুন