রংপুরের হারাগাছ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রংপুরের জেলা ও দায়রা জজকে প্রধান করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি ও রংপুর পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধিকে রাখতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
এর আগে শুনানিকালে পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাজুলের কাছে ৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিলো। তার মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এরপর আদালত ওই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, রংপুরের নয়াবাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল। পরে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করে। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর গত ২ নভেম্বর তাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার প্রেক্ষিতে গৃহীত পদক্ষেপ জানাতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে গত ২৪ নভেম্বর ওই ঘটনায় মৃতের ভিসেরা রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।