জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন করিফুল বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার (০৪ মে) দুপুরে ভুক্তভোগি গৃহবধূ সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

 

এ ব্যাপারে মারধরের শিকার গৃহবধূ ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উবায়দুল হক বাবুকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অন্যান্য বিবাদীরা হলেন- ইউপির ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য জয়নব বেগম, তার স্বামী শাজাহান, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য লাভলী বেগম, ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুকুল ইসলাম।

ইসলামপুর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুলকান্দি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র হিসেবে দীর্ঘদিন সরকারের “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি” আওতায় কার্ডধারী হয়ে চাল উত্তোলন করে আসছিলেন কুলকান্দি মিয়াপাড়া গ্রামের মো. বাবুলের স্ত্রী করিফুল বেগম। কিন্তু তিনি সম্প্রতি স্থানীয় মলমগঞ্জ বাজারে ওই কার্ডের চাউল উত্তোলন করতে গিয়ে দেখতে পান তার নাম নেই।

এ সময় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উবায়দুল হক বাবু ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য লাভলী বেগম জানিয়ে দেয় তাকে আর চাল দেওয়া হবে না। এমতাবস্থায় গত ২৯ এপ্রিল বেলা বারোটায় করিফুল বেগম ইউপির অস্থায়ী কার্যালয়ে ভিজিডি কার্ডের চাউল উত্তোলন করতে গেলে ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উবায়দুল হক বাবুসহ ইউপির অন্যান সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কিলঘুষি মেরে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধরের শিকার গৃহবধূ করিফুল বেগম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পিটুনি খেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আমি দিনাতিপাত করছি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান উবায়দুল হক বাবুর সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সরকারি চাল চুরির অভিযোগে কিছুদিন আগে ওই মহিলাকে আসামি করে আমি আদালতে মামলা করেছি। এখন সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।”

ইসলামপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাবে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন