রাজধানীর পল্লবীর বাসা থেকে ফারজাদ জুলফিকার অমিত (৩০) নামে যুবককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছেন তার মা। তবে থানা পুলিশ ও ডিবির দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেননি।

 

ফারজাদ জুলফিকারের মা জানান, অমিত ভারত থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বছরখানেক আগে দেশে ফেরে।

তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ ও অনলাইনে লেখালেখি করতেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।

অমিতের স্কুল শিক্ষিকা মা জুলিয়া ফাহাদ ১০ জুন বুধবার রাতে জানান, তাদের বাসা বর্ধিত পল্লবীতে অবস্থিত। বুধবার দুপুরে দেড়টার দিকে পল্লবী থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বাসার ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরমে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সঠিক কি না জানতে চান। পরে তারা বাড়িতে এসে অমিতের সঙ্গে কথাও বলেন।

তিনি আরো বলেন, মাগরিবের নামাজের পর দারোয়ান খরব দেয় আবার বাসায় পুলিশ এসেছে অমিতের সঙ্গে কথা বলতে চায়। অমিত হাফপ্যান্ট পরে নিচে গেলেই তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। দারোয়ানের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে দৌড়ে নিচে গিয়ে দেখি কালো রঙয়ের একটি জিপ জাতীয় গাড়িতে করে অমিতকে নিয়ে যাচ্ছে।

জুলিয়া ফাহাদ বলেন, আমি অমিতের মোবাইলে ফোন করলে অচেনা একজন রিসিভ করে বলেন, ‘আমরা অমিতকে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের স্যার তার সঙ্গে কথা বলবেন। কথা শেষ হলে রাতেই অথবা কাল সকালে আবার বাসায় দিয়ে যাব’।

তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এরপর থেকে অমিতের ফোন বন্ধ। পল্লবী থানায় যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু জানে না বলে দাবি করে। ডিবি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তারাও অমিতকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম  জানান, আটকের বিষয়টি তার জানা নেই।

ডিবির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অমিত নামে কাউকে আটকের বিষয় জানা নেই বলে জানান।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন