নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকায় বুধবার ‘কোরআন শরিফ অবমাননার’ অভিযোগে হিন্দু ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দোকান ও একটি মন্দিরের ওপর হামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই হিন্দু যুবককে গ্রেফতার ও মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় মন্দির ও মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে।

ঘটনা সম্পর্কে এ রকম একটি কাহিনী শোনা যায়, গোপালপুর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী মধু (২০) ও নির্মল (১৮) বাজি ধরে তাদের একজন কোরআন শরিফের অবমাননা করে। কিন্তু বাজির ৫০ টাকা পরিশোধ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে আশপাশের দোকানিরা ঘটনাটি জেনে যায়। বুধবার সকালে মাইকযোগে বিষয়টি প্রচার করা হলে শত শত মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জনতা উপজেলা চত্ত্বর থেকে মধু ও নির্মলকে আটক করে বেদম প্রহারের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। একপর্যায়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক জননী জুয়েলার্স ও সনাতন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে হামলা ও ভাঙচুর করে। লোকজন মিছিল করে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল এলাকায় আরো সাতজন হিন্দু ব্যবসায়ীর দোকান ও একটি শ্মশান মন্দির ভাঙচুর করে।

বিক্ষুব্ধ লোকজন বিরোপাড়া গ্রামের হিন্দু বসতিতেও হামলার চেষ্টা করে। তবে পৌর চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড কমিশনাররা তাদের নিবৃত্ত করতে সক্ষম হন। লালপুর থানার পুলিশ মাইকযোগে অভিযুক্তদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিলে লোকজন শান্ত হয়। ঘটনার পরপরই নাটোরের এসপি আব্দুর রহিম গোপালপুর এসে বিভিন্ন মন্দির ও মার্কেটের নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ নিয়োগ করেছেন।

প্রথম আলো, ২ আগস্ট ২০০১

কৃতজ্ঞতা: শ্বেতপত্র-বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ১৫০০ দিন

মন্তব্য করুন